কৃষিবিদ প্রফেসর মো. শাদাত উল্লা
ভাইস-চ্যান্সেলর
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই ইউএসএ ফ্যামিলির রি-ইউনিয়ন ও নতুন কমিটির অভিষেক হচ্ছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত। এদেশের কৃষি শিক্ষা, কৃষি গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণে এলামনাইদের ভূমিকা আজ সর্বজনস্বীকৃত । এ প্রতিষ্ঠানের এলামনাইগণ কৃষি গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি ও কলাকৌশল উদ্ভাবন করে কৃষি উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগোষ্ঠীকে বাঁচানোর লক্ষ্যেই শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯৩৮ সনে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আমি আজ অত্যন্ত গর্বিত এই জন্য যে, আমি উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এটিকে ২০০১ সনের ৬ জানুযারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার ঘোষনা দিয়ে ১৫ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করে আমাকে প্রথম উপাচার্য হিসাবে নিযোগ দেন এবং ২০১২ সালের ২৬ জুলাই বর্তমান সরকার আমাকে দ্বিতীয়বার উপাচার্যের দায়িত্ব প্রদান করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই প্রবাসেও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই ইউ এসএ, ইন্ক এর মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্য, কৃষ্টি, কৃষির উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরা হচ্ছে।
জানতে পেরেছি দেশে অসহায় ও বিপদগ্রস্থ মানুষের সহায়তায় এ সংগঠনটি কাজ শুরু করছে। এমনকি সামাজিকমূলক নানা ধরনের কল্যানমূলক কর্মকান্ডে জড়িত। আমি বর্তমানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে মনে করি উক্ত সংগঠনটির এ প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে তারা একই সেতু বন্ধনে আবদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে এলামনাইদের ভূমিকাই প্রধান ছিল। আমি প্রবাসি এলামনাইসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আহবান জানাবো তারা যেন এ প্রতিষ্ঠানকে আরো শক্তিশালী করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাহলে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। আমি অনুষ্ঠানের সার্বিক সফলতা ও অংশগ্রহণকারী সকলের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।